আরিফুর রহমান পাপন
পহেলা বৈশাখ মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে আনন্দ। বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বছরের প্রথম দিন আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠান। হাজার রঙের ভিড়ে বাংলা নববর্ষ প্রতিবছর হাজির হয় নতুন বার্তা নিয়ে।
বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় এবার এক ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছেন নেত্রকোণা ১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী। তার উদ্যোগে দুই উপজেলায় বৈশাখের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন কৃষক আনন্দ মেলা উদযাপিত হবে। এতে থাকছে আবহমান বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যের নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। দুর্গাপুরের এম.কে.সি.এম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও কলমাকান্দা স্টেডিয়াম মাঠে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।
এই আয়োজনে গান শোনাবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি,সুকুমার বাউল,ঐশী,লায়লা এবং আভাস ব্যান্ডের তুহিন।
কৃষক আনন্দ মেলা ঘিরে দুর্গাপুরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা সমগ্র আয়োজন দেখতে মুখিয়ে আছেন। এই আয়োজন ঘিরে এরই মধ্যে দুই উপজেলায় তুমুল সাড়া পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে মানুষের আগ্রহের চূড়ান্ত রূপ। মেলা নিয়ে একের পর এক পোস্ট,ছবি,প্রস্তুতির ভিডিও দেখা গেছে নাগরিক টাইমলাইনে। একদিকে ঈদের আনন্দ অপরদিকে বাংলা নববর্ষ বরণ,দুই মিলে এবার দুর্গাপুর-কলমাকান্দাবাসী আহ্লাদে আটখানা। এমন উপলক্ষ্য এবারই প্রথম।
এই আয়োজন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার বলেন, দুর্গাপুর-কলমাকান্দায় এমন আয়োজন এবারই প্রথম। আমি মাননীয় সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই। এমন আয়োজন সত্যিই আনন্দের।
কবি ও সাংবাদিক মামুন রণবীর বলেন,কৃষক আনন্দ মেলা মানে বাংলার শেকড় সন্ধান করা। আমরা শেকড় থেকে শিখরে পৌঁছে গিয়ে নিজেদের প্রকৃত বাংলা কৃষ্টি-সংস্কৃতি ভুলে যাই। কিন্তু আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য নিজের শেকড় ভুলেননি। তিনি পরম যত্ন ও আগ্রহ নিয়ে এই মেলা আয়োজন করছেন। যেটি সাধারণ থেকে অসাধারণ সব শ্রেণী পেশার মানুষকে আপ্লুত করেছে,আনন্দিত করেছে। আমি সাধুবাদ জানাই।
দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফিক বলেন,
আমাদের মাননীয় এমপি মহোদয়ের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন উনি সব থেকে বেশি প্রাধান্য দেন কৃষকদের, সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ তাদেরকে নিয়ে উনার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করছেন। দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলায় এ কৃষক আনন্দমেলা এত বড় আয়োজন এ দুই উপজেলায় এ প্রথম। এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ও উনার নিজস্ব অর্থায়নে এ মেলা হবে। আমরা দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ কৃষক শ্রমিকরা মিলে এ মেলা স্বার্থক করার জন্য কাজ করছি। আশা করি ১৪ ও ১৫ তারিখের কৃষক আনন্দ মেলা বাংলাদেশের ভিতর উপজেলা লেভেলে সর্বোচ্চ আনন্দ মেলা করতে পারবো। এ কাজে সকলের সহযোগিতা কাম্য।
নেত্রকোণা- ১ আসনের এমপি ও কৃষক আনন্দ মেলার প্রধান উপদেষ্টা মোশতাক আহমেহ রুহী বলেন, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার কৃষকসহ সর্বসাধারনের মাঝে ঈদ ও বাংলা নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য আমার এ আয়োজন। মেলা উপভোগ করার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ।